মানুষের পরিত্রাণের জন্য ঈশ্বরের পরিকল্পনা কোনটি?
যিশুকে বিশ্বাস হল পরিত্রাণের ঐশ্বরিক পরিকল্পনা। যিশুখ্রিষ্টই হলেন পিতার কাছে পৌঁছনর একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু, যদিও ঈশ্বর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর সাথে ঐক্যের সম্পর্ক রাখার জন্য, এই সম্পর্কটি চাপিয়ে দেওয়া নয়; এটি ঐচ্ছিকঃ প্রত্যেক ব্যক্তিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এই পাঠে, আমরা কিছু মূল কথ্য পাব:
১। বাইবেলে আমাদের জন্য এমন ব্যক্তির উদাহরণ রয়েছে যারা ঈশ্বরকে খুশি করবার প্রচেস্টা করেছেন।
২। ঈশ্বরের কাছে যাবার জন্য, আমাদেরকে তাঁর পথ দেখানোটা আবশ্যক।
৩। যিশু হচ্ছেন সেই মাধ্যম যার দ্বারা আমরা ঈশ্বরের সাথে একটি সম্পর্ক করতে পারি, অতঃপর, চিরন্তন জীবন।
৪। যিশুর বলিদানের বিষয়ে প্রতিটি মানুষের কী করা উচিৎ?
৫। কিন্তু মানুষের পক্ষে নিজের চেষ্টায় এই আত্মা হতে জন্মগ্রহণ করা অসম্ভব।
৬। ঈশ্বরই একজন যিঁনি এই আত্মা থেকে আমাদের জন্মগ্রহণ করাতে পারেন যখন আমরা স্বীকার করি যে যিশুই হলেন প্রভু, এবং আমরা আমাদের হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করি যে ঈশ্বর তাঁকে মৃত্যু হতে উঠিয়ে এনেছেন।
৭। উদ্ধার পাবার জন্য আমার কী করা উচিৎ?
১। বাইবেলে আমাদের জন্য এমন ব্যক্তির উদাহরণ রয়েছে যারা ঈশ্বরকে খুশি করবার প্রচেস্টা করেছেন।
কেইন এবং অ্যাবেল এর পর্বে, উভয়েই ঈশ্বরের নিকট অর্ঘ অর্পণ করেছিলেন।
3 পরে নির্ধারিত দিনের কয়িন উপহাররূপে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে ভূমির ফল উৎসর্গ করল। 4 আর হেবলও নিজের পালের প্রথমজাত কয়েকটি পশু ও তাদের মেদ উৎসর্গ করল। তখন সদাপ্রভু হেবলকে ও তার উপহার গ্রহণ করলেন; 5 কিন্তু কয়িনকে ও তার উপহার গ্রহণ করলেন না; এই জন্য কয়িন খুবই রেগে গেল, তার মুখ বিষণ্ণ হল। (আদিপুস্তক ৪: ৩-৫)
এ ছাড়াও যখন এডামের পুত্র সেথের পুত্র সন্তান হয়, বাইবেল বলে: «26 (…) তখন লোকেরা সদাপ্রভুর নামে আরাধনা করতে আরম্ভ করল।» (আদিপুস্তক ৪:২৬)।
আমাদের কাছে হনোক ঘটনাটিও রয়েছে: «22 মথূশেলহের জন্ম দিলে পর হনোক তিনশো বছর ঈশ্বরের সঙ্গে যাতায়াত করলেন এবং আরও ছেলেমেয়ের জন্ম দিলেন।» «24 হনোক ঈশ্বরের সঙ্গে যাতায়াত করতেন। পরে তিনি আর থাকলেন না, কারণ ঈশ্বর তাঁকে গ্রহণ করলেন।» (আদিপুস্তক ৫:২২ এবং ২৪)।
বাইবেলে আমাদের জন্য এমন ব্যক্তির উদাহরণ রয়েছে যারা ঈশ্বরকে খুশি করবার প্রচেস্টা করেছেন। পূর্বে উল্লিখিত ঘটনাগুলোয়, তারা ঈশ্বরের সাথে সেই সম্পর্ক চেয়েছিলেন যা ওল্ড টেস্টামেন্টের শাস্ত্রে প্রকাশ করা হয়েছে, কিন্তু অন্যান্য ব্যক্তিরা চেয়েছিলেন উপাসনা এবং প্রতিমার নির্ভরতার সম্পর্ক:
15 জাতিদের প্রতিমা সব রূপা এবং সোনার,
সেগুলো মানুষের হাতের কাজ।
16 ঐ প্রতিমাগুলোর মুখ আছে কিন্তু তারা কথা বলে না;
তাদের চোখ আছে কিন্তু দেখতে পায় না;
17 তাদের কান আছে কিন্তু তারা শুনতে পায় না;
তাদের মুখে শ্বাস নাই।
18 যারা তাদের তৈরী করেন,
তারাও যেমন যারা তাদের বিশ্বাস করে তারাও তেমন। (গীতসংহিতা ১৩৫: ১৫-১৮)।
২। কিন্তু ঈশ্বরের কাছে যাওয়ার জন্য আমাদেরকে তাঁর পথ দেখানোটা আবশ্যক।
কোন দেবত্বর সাথে একটি সম্পর্ক থাকাটা প্রয়োজনীয়। ঈশ্বর পবিত্র বাইবেলের মাধ্যমে আমাদের পথ দেখানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বাইবেলের অংশ যাকে আমরা বলি ওল্ড টেস্টামেন্ট, এর অনেকগুলো পৃষ্ঠা জুড়ে ঈশ্বর পরিত্রাণের অঙ্গীকার করেছেন। এর কিছু আমরা দেখতে পাই ইসাইয়াহ ৫৩ এ, আর সেখানে বলা হয়েছে:
1 আমরা যা শুনেছি তা কে বিশ্বাস করেছে? এবং সদাপ্রভুর হাত কার কাছে প্রকাশিত হয়েছে? 2 কারণ তিনি তাঁর সামনে চারার মত, শুকনো মাটিতে উত্পন্ন মূলের মত উঠলেন; তাঁর এমন সৌন্দর্য বা জাঁকজমক নেই যে, তাঁর দিকে আমরা ফিরে তাকাই; আমরা তাকে দেখেছি, আমাদের আকর্ষণ করার জন্য কোন সৌন্দর্য ছিল না। 3 তিনি ঘৃণিত ও লোকদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে; ব্যথার পাত্র ও যন্ত্রণায় পরিচিত হয়েছেন। লোকে যাকে দেখলে মুখ লুকায় তিনি তার মত হয়েছেন; তিনি ঘৃণিত হয়েছেন এবং আমরা তাকে তুচ্ছ বলে বিবেচনা করি।
4 কিন্তু সত্যি তিনিই আমাদের সব রোগ তুলে নিয়েছেন আর আমাদের দুঃখ বহন করেছেন; তবু আমরা ভাবলাম ঈশ্বরের দ্বারা প্রহারিত, আহত ও দুঃখিত হয়েছেন। 5 কিন্তু তিনি আমাদের অধর্ম্মের জন্যই বিদ্ধ; তিনি আমাদের পাপের জন্য চূর্ণ হলেন। আমাদের শান্তিজনক শাস্তি তার ওপরে আসল; তার ক্ষতের দ্বারা আমাদের আরোগ্য হল। 6 আমরা সবাই মেষের মত বিপথে গিয়েছি; আমরা প্রত্যেকে নিজেদের পথের দিকে ফিরেছি এবং সদাপ্রভু আমাদের সবার অন্যায় তাঁর ওপরে দিয়েছেন।
7 তিনি অত্যাচারিত হলেন; কষ্ট ভোগ করলেন, তবু তিনি মুখ খুললেন না; যেমন মেষশাবক হত্যার জন্য নীত হয় এবং মেষ যেমন লোম ছাঁটাইকারীদের সামনে চুপ করে থাকে। 8 তিনি অত্যাচার ও বিচারের দ্বারা নিন্দিত হলেন। সেই দিন কার লোকদের মধ্যে কে তার বিষয়ে আলোচনা করল, কিন্তু তিনি জীবিতদের দেশ থেকে উচ্ছিন্ন হলেন। আমার লোকের অধর্ম্মের জন্য তার ওপরে আঘাত পড়ল। 9 তারা দুষ্টদের সঙ্গে তার কবর নির্ধারণ করল এবং মৃত্যুতে তিনি ধনবানের সঙ্গী হলেন, যদিও তিনি হিংস্রতা করেননি, আর তাঁর মুখে ছলনা ছিল না।
10 তবুও তাকে চূর্ণ করতে সদাপ্রভুরই ইচ্ছা ছিল; তিনি তাকে যন্ত্রণাগ্রস্থ করলেন, যখন তাঁর প্রাণ দোষার্থক বলি উৎসর্গ করবেন, তখন তিনি তাঁর সন্তানদের দেখতে পাবেন, দীর্ঘ আয়ু বাড়ানো হবেন এবং তাঁর হাতে সদাপ্রভুর ইচ্ছা পূর্ণ হবে। 11 তিনি তাঁর প্রাণের কষ্টভোগের ফল দেখবেন, তৃপ্ত হবেন; আমার ধার্মিক দাসকে গভীরভাবে জানবার মধ্যে দিয়ে অনেককে নির্দোষ বলে গ্রহণ করা হবে, কারণ তিনি তাদের সব অন্যায় বহন করবেন। 12 এই জন্য মহান লোকদের মধ্যে আমি তাঁকে একটা অংশ দেব এবং তিনি শক্তিশালীদের সঙ্গে লুট ভাগ করবেন, কারণ তিনি মৃত্যুর জন্য নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন। তিনি অধর্মীদের সঙ্গে গণিত হলেন এবং তিনি অনেকের পাপ বহন করেছিলেন এবং অধর্মীদের জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
নিউ টেস্টামেন্টে, আমরা আক্ষরিক ভাবেই লুক ৪: ১৬-২১ এ পড়ি, যিশু সম্পর্কে:
16 আর তিনি যেখানে বড় হয়েছিলেন, সেই নাসরতে উপস্থিত হলেন এবং তিনি নিজের রীতি অনুসারে বিশ্রামবারে সমাজঘরে প্রবেশ করলেন ও শাস্ত্র পাঠ করতে দাঁড়ালেন। 17 তখন যিশাইয় ভাববাদীর পুস্তক তাঁর হাতে দেওয়া হল, আর পুস্তকটি খুলে তিনি সেই অংশটি পেলেন, যেখানে লেখা আছে,
18 “প্রভুর আত্মা আমার উপর আছেন, কারণ
তিনি আমাকে অভিষিক্ত করেছেন,
দরিদ্রের কাছে সুসমাচার প্রচার করার জন্য;
তিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, বন্দিদের কাছে মুক্তি প্রচার করার জন্য,
অন্ধদের কাছে দৃষ্টি দানের প্রচার করার জন্য,
নির্যাতিতদের উদ্ধার করার জন্য,
19 প্রভুর অনুগ্রহের বছর ঘোষণা করার জন্য।”
20 পরে তিনি পুস্তকটিকে বন্ধ করে পরিচারকের হাতে দিলেন এবং বসলেন। তাতে সমাজঘরের সবাই একভাবে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকল। 21 আর তিনি তাদের বললেন, “আজই শাস্ত্রের এই বাণী তোমাদের শোনার মাধ্যমে পূর্ণ হল।”
যিশু মথি ৫: ১৭ এবং ১৮ এ নিজের সম্পর্কে বলেছেন:
17 মনে কর না যে, আমি আইন কি ভাববাদীগ্রন্থ ধ্বংস করতে এসেছি; আমি ধ্বংস করতে আসিনি, কিন্তু সম্পূর্ণ করতে এসেছি। 18 কারণ আমি তোমাদের সত্য বলছি, যে পর্যন্ত আকাশ ও পৃথিবী লুপ্ত না হবে, সে পর্যন্ত আইনের এক মাত্রা কি এক বিন্দুও লুপ্ত হবে না, সবই সফল হবে।
যিশু আইন পরিপূর্ণ করতে এসেছেন, এবং ইব্রীয় ৪: ১৫ অনুসারে, «15 আমরা এমন মহাযাজককে পাইনি, যিনি আমাদের দুর্বলতার দুঃখে দুঃখিত হতে পারেন না, কিন্তু তিনি সব বিষয়ে আমাদের মত পরীক্ষিত হয়েছেন বিনা পাপে।»। যোহন ১: ২৯ বলেন: «29 পরের দিন যোহন যীশুকে নিজের কাছে আসছে দেখে বললেন, ঐ দেখ ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি পৃথিবীর সব পাপ নিয়ে যান।«। প্রকাশিত বাক্য ৫ এ, একটি মেষশাবকের সামনে, যেন এটিকে হত্যা করা হয়েছিল, একটি নতুন গান গাওয়া হচ্ছিল:
9 (…) “তুমিই ঐ বইটা নিয়ে তার সীলমোহরগুলো
খোলবার যোগ্য।
কারণ তোমাকে মেরে ফেলা হয়েছিল।
তুমিই তোমার রক্ত দিয়ে সমস্ত জাতি,
ভাষা, লোক ও জাতিকে কিনে নিয়েছ, 10 ঈশ্বরের জন্য লোকদের কিনেছে,
তুমি তাদের নিয়ে একটা রাজ্য গড়ে তুলেছে,
এবং আমাদের ঈশ্বরের সেবা করবার জন্য যাজক করেছ।
এবং পৃথিবীতে তারাই রাজত্ব করবে।” (প্রকাশিত বাক্য ৫:৯, ১০)।
যিশু, নিষ্পাপ হয়েও, আমাদের সকলের পাপ ক্রুশে নিজের উপর নিয়ছিলেন।
১ যোহন ৪: ৯, ১০ বলেন
9 আমাদের মধ্যে ঈশ্বরের ভালবাসা এই ভাবে প্রকাশিত হয়েছে যে, ঈশ্বর নিজের একমাত্র পুত্রকে জগতে পাঠালেন, যেন তাঁর মাধ্যমে আমরা জীবন পাই। 10 এই পুত্রতেই ভালবাসা আছে; আমরা যে ঈশ্বরকে ভালবেসেছিলাম তা নয় কিন্তু তিনিই আমাদেরকে ভালবেসেছিলেন এবং নিজের পুত্রকে পাঠালেন ও আমাদের পাপের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করলেন।
৩। যিশু হচ্ছেন সেই মাধ্যম যার দ্বারা আমরা ঈশ্বরের সাথে একটি সম্পর্ক করতে পারি, আর সে জন্য,চিরন্তন জীবন।
«6 যীশু তাঁকে বললেন, “আমিই পথ, আমিই সত্য এবং আমিই জীবন; আমাকে ছাড়া কেউ পিতার কাছে যেতে পারে না।» (যোহন ১৪:৬)। যিশুতে বিশ্বাস হল পরিত্রাণের ঐশ্বরিক পরিকল্পনা। যিশুখ্রিষ্টই হল পিতার কাছে পৌঁছনর একমাত্র উপায়।
৪। যিশুর বলিদানের বিষয়ে প্রতিটি মানুষের কী করা উচিৎ?
যিশু যখন পার্থিব জীবনে ছিলেন তখন তিঁনি একবার নিকোডেমাস এর সাথে কথা বলছিলেন, যিনি ছিলেন তার সময়ের ইহুদিদের মধ্যে বিশিষ্ট একজন শিক্ষক। নিকোডেমাস স্বীকার করছিলেন যে যিশু ঈশ্বর হতে একজন শিক্ষক হিসেবে এসেছেন, কিন্তু যিশু তাঁকে উত্তর দেন:
«3 (…) আমি তোমাদের সত্যি সত্যি বলছি, কারুর নতুন জন্ম না হওয়া পর্যন্ত সে ঈশ্বরের রাজ্য দেখতে পারে না।» (যোহন ৩:৩)
এবং তিঁনি এতে আরও জোর দিয়ে বলেন: «5 (…) আমি তোমাদের সত্যি সত্যি বলছি, যদি কেউ জল এবং আত্মা থেকে না জন্ম নেয় তবে সে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে না। 6 যা মানুষ থেকে জন্ম নেয় তা মাংসিক এবং যা আত্মা থেকে জন্ম নেয় তা আত্মাই।» (যোহন ৩: ৫,৬)
এই শ্লোকগুলো থেকে, আমরা কিছু বাস্তবতা জানতে পারি:
১। একটি ঐশ্বরিক রাজ্য রয়েছে।
২। ঈশ্বরের রাজ্য দেখা এবং সেখানে প্রবেশ করা সম্ভব।
৩। ঈশ্বরের রাজ্য দেখার জন্য এবং সেখানে প্রবেশের জন্য আত্মা হতে জন্মগহণ করা আবশ্যক।
৫। কিন্তু মানুষের পক্ষে নিজের চেষ্টায় এই আত্মা হতে জন্মগ্রহণ করা অসম্ভব।
4 কিন্তু যখন আমাদের মুক্তিদাতা ঈশ্বরের মধুর স্বভাব এবং মানবজাতীর উপর প্রেম প্রকাশিত হলো, 5 তখন তিনি আমাদের ধার্মিকতার জন্য নয়, কিন্তু নিজের স্নেহ ও দয়াতে, নতুন জন্মের দ্বারা আমাদের অন্তর ধুয়ে পরিষ্কার করলেন ও পবিত্র আত্মায় নতুন করে আমাদেরকে রক্ষা করলেন, 6 সেই আত্মাকে তিনি আমাদের মুক্তিদাতা যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমাদের উপরে প্রচুররূপে দিলেন; 7 যেন তাঁরই অনুগ্রহে ধার্মিক হিসাবে আমরা অনন্ত জীবনের আশায় উত্তরাধিকারী হই। (তীত ৩:৪-৭)
12 আমরা প্রার্থনা করি যিনি আমাদের আলোতে পবিত্র লোকদের উত্তরাধিকারের অংশীদার হবার যোগ্য করেছেন, আনন্দের সঙ্গে যেন সেই পিতাকে ধন্যবাদ দিতে পারি। 13 তিনি আমাদের অন্ধকারের আধিপত্য থেকে উদ্ধার করেছেন এবং নিজের প্রিয় পুত্রের রাজ্যে আমাদের এনেছেন। 14 তাঁর পুত্রের মাধ্যমে আমরা মুক্তি, পাপের ক্ষমা পেয়েছি। (কলোসিয়ান্স ১: ১২-১৪)
সেই একজনই হলেন পিতা যিঁনি আমাদের সন্তদের উত্তরাধিকারে অংশ নেওয়ার যোগ্য করেছেন, যিঁনি আমাদের অন্ধকার থেকে উদ্ধার করেছেন, এবং তাঁর প্রিয় পুত্রের রাজ্যে আমাদের স্থানান্তর করেছেন। এই কারণে, মানুষের পক্ষে নিজের চেষ্টায় এই আত্মা হতে জন্মগ্রহণ করা অসম্ভব।
৬। ঈশ্বরই একজন যিঁনি এই আত্মা থেকে আমাদের জন্মগ্রহণ করাতে পারেন যখন আমরা স্বীকার করি যে যিশুই হলেন প্রভু, এবং আমরা আমাদের হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করি যে ঈশ্বর তাঁকে মৃত্যু হতে উঠিয়ে এনেছেন।
রোমীয় ১০: ৮-১০ এ আমরা পড়েছি:
8 কিন্তু এটি কি বলে? “সেই কথা তোমার কাছে, তোমার মুখে এবং তোমার হৃদয়ে রয়েছে।”
বিশ্বাসের যে কথা, যা আমরা প্রচার করি। 9 কারণ তুমি যদি মুখে যীশুকে প্রভু বলে মেনে নাও এবং তোমার হৃদয়ে বিশ্বাস কর যে, ঈশ্বর তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছেন, তুমি রক্ষা পাবে। 10 কারণ লোকে মন দিয়ে বিশ্বাস করে ধার্মিকতার জন্য এবং সে মুখে স্বীকার করে পরিত্রানের জন্য।
৭। উদ্ধার পাবার জন্য আমার কী করা উচিৎ?
১। «36 যে কেউ পুত্রের ওপর বিশ্বাস করেছে, সে অনন্ত জীবন পেয়েছে; কিন্তু যে কেউ পুত্রকে না মেনে চলে সে জীবন দেখতে পাবে না কিন্তু ঈশ্বরের ক্রোধ তার উপরে থাকবে।» (যোহন ৩: ৩৬)
২। «19 অতএব, তোমরা মন ফেরাও, ও ফের, যেন তোমাদের পাপ সব মুছে ফেলা হয়, যেন এরূপে ঈশ্বরের কাছ থেকে আত্মিক বিশ্রাম আসে,» (প্রেরিতদের কার্য্য ৩: ১৯)
ঈশ্বরের আকাঙ্ক্ষা হল আমাদের, তাঁর মানব সৃষ্টির, সাথে সম্পর্ক করা। একটি সম্পর্ক যা বাকি সব সৃষ্টির সাথে তাঁর যে সম্পর্ক রয়েছে তা থেকে ভিন্ন। পিতা এবং সন্তানদের মধ্যে একটি ঐক্যের সম্পর্ক, এবং আমাদের পথ দেখানোর জন্য তিঁনি কল্পনীয় সবকিছু করেছেন। তিঁনি তাঁর সন্তানকে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। তাঁর পুত্রও কল্পনীয় সবকিছু করেছেন। তিঁনি আমাদের পাপের প্রায়শিত্ত করার জন্য এবং আমাদের উদ্ধারের জন্য ক্রুশে মৃত্যুবরণ করে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন, এখন আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে যে আমরা বিশ্বাস করব কী করব না।
শেষ করতে,
1 আর কর আদায়কারী ও পাপী লোকেরা সবাই যীশুর কথা শোনার জন্য তাঁর কাছে আসছিল। 2 তাতে ফরীশী ও ধর্মশিক্ষকেরা অভিযোগ করে বলতে লাগল, “এ ব্যক্তি পাপীদের গ্রহণ করে, ও তাদের সাথে খাওয়া দাওয়া ও মেলামেশা করে।” 3 তখন তিনি তাদের এই উপমা বললেন। 4 “তোমাদের মধ্যে কোনো এক ব্যক্তি যার একশো মেষ আছে, ও তার মধ্যে থেকে একটি হারিয়ে যায়, তবে সে কি অন্য নিরানব্বইটাকে ছেড়ে দিয়ে সেই একটাকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত তার খোঁজ করতে যায় না? 5 আর সেটিকে খুঁজে পেলে সে খুশী হয়ে তাকে কাঁধে তুলে নেয়। 6 পরে ঘরে এসে বন্ধু বান্ধব ও প্রতিবেশীদের ডেকে বলে, আমার সঙ্গে আনন্দ কর, কারণ আমার যে মেষটি হারিয়ে গিয়েছিল, তা আমি খুঁজে পেয়েছি।” 7 আমি তোমাদের বলছি, “ঠিক সেইভাবে একজন পাপী মন ফেরালে স্বর্গে আনন্দ হবে; যারা পাপ থেকে মন ফেরান দরকার বলে মনে করে না, এমন নিরানব্বই জন ধার্ম্মিকের জন্য তত আনন্দ হবে না।” (লুক ১৫: ১-৭)